সফল উদ্যোক্তা হওয়ার সেরা কৌশল: ১০টি প্রয়োজনীয় পরামর্শ

Avatar

Published on:

সফল উদ্যোক্তা হওয়ার সেরা কৌশল: ১০টি প্রয়োজনীয় পরামর্শ

সফল উদ্যোক্তা হওয়ার উপায়: জীবনী থেকে শেখা এবং ব্যবসায়িক কৌশল

সফল হতে হলে সফল উদ্যোক্তা হওয়ার উপায় জানতে হবে। সফল উদ্যোক্তার জীবনী পড়ার মাধ্যমে সহজেই সফল হওয়ার মূলমন্ত্র জানা সম্ভব। আমাদের অনেকের স্বপ্ন একজন সফল উদ্যোক্তা হওয়া। কিন্তু সঠিক দিক নির্দেশনার অভাবে, অনেকেই ব্যর্থ হয়ে যান।

জীবন বৈচিত্র্যময়, আর এই বৈচিত্র্যময় জীবনকে উপভোগ করার অন্যতম উপায় হল উদ্যোক্তা হওয়া। নিজের ব্যবসার মালিকানা আপনাকে ব্যক্তিস্বাধীনতা দেবে। সফল উদ্যোক্তা হয়ে আপনি অন্যের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস হতে পারবেন।

সফল উদ্যোক্তার গুণাবলী

একজন সফল উদ্যোক্তা হতে হলে অবশ্যই কিছু গুণ থাকা জরুরি। এসব গুণ এবং বৈশিষ্ট্য যদি আপনার মধ্যে আনতে পারেন, তাহলে একজন সফল উদ্যোক্তার তালিকায় নিজের নাম লিখতে পারবেন। আসুন, মূল আলোচনায় যাই।

দেখা ও শেখা

কোনো বিষয়ে পর্যাপ্ত জ্ঞান না থাকলে, সে বিষয়ে সফল হওয়া অসম্ভব। পৃথিবীর সফল উদ্যোক্তারা হয় অভিজ্ঞতা থেকে শিখেছেন না হয় বই পড়ে শিখেছেন। সফল উদ্যোক্তা বিল গেটস, প্রত্যেক উদ্যোক্তাকে ৫টি বই পড়ার পরামর্শ দিয়েছেন:

  1. Mindset: The New Psychology of Success (Carol Dweck)
  2. Where Good Ideas Come From: The Natural History of Innovation (Steven Johnson)
  3. Business Adventures (John Brooks)
  4. Steve Jobs (Walter Isaacson)
  5. The Black Swan: The Impact of the Highly Improbable (Nassim Taleb)

অভিজ্ঞতা থেকে শেখার পরিবর্তে, অন্যের অভিজ্ঞতা থেকে শিখতে চেষ্টা করুন। এতে আপনাকে কষ্ট বা টাকা হারাতে হবে না। উদ্যোক্তাদের জীবনী পড়ুন, তাদের ব্যবসায়িক কৌশলগুলো দেখুন। এতে করে উদ্যোক্তা হিসাবে সফল হওয়া সহজ হবে।

উদ্ভাবনী হওয়া

ব্যবসায়ের পরিবেশ প্রতিনিয়ত পরিবর্তন হয়। যেই কৌশল গতকাল কাজ করেছে, তা হয়তো আগামীকাল কাজ করবে না। নিজেকে কোনো কিছুতে স্থির রাখা যাবে না। প্রতিনিয়ত নতুন কিছু করার চেষ্টা করুন। বাজারের চাহিদা বুঝে ব্যবসায়ের সাথে তাল মেলানোর চেষ্টা করুন।

ঝুঁকি নেওয়া এবং সুযোগের সদ্ব্যবহার করা

মানুষ সাধারণত ঝুঁকি বিমুখ। কিন্তু একজন উদ্যোক্তার মধ্যে যদি এই বদগুণ থাকে, তাহলে তার উদ্যোক্তার পথে না হাঁটাই ভালো। একজন সফল উদ্যোক্তার বড় গুণ হল, সে জানে কোন ঝুঁকি নিতে হবে এবং কোন ঝুঁকি নেওয়া উচিত নয়। ঝুঁকি নেওয়ার পূর্বে অবশ্যই সেই বিষয়ে বিশ্লেষণ করুন।

লক্ষ্যকে ভিজ্যুয়ালাইজ করা

আপনার লক্ষ্য যদি সফল উদ্যোক্তা হওয়া হয়, তবে সেটা সঠিকভাবে নির্ধারণ করুন। উদাহরণস্বরূপ:

  • "আমি সফল উদ্যোক্তা হতে চাই।"
  • "গ্রাহকদের নির্দিষ্ট সমস্যা সমাধান করতে পারে, এমন বিষয়ে কাজ করে সফল উদ্যোক্তা হতে চাই।"

দ্বিতীয়টি আপনার লক্ষ্যকে ভালোভাবে প্রকাশ করে। আপনার লক্ষ্য পূরণের ধাপগুলো ভিজ্যুয়ালাইজ করার চেষ্টা করুন।

মূলধনের উৎস নির্ধারণ

একজন নতুন উদ্যোক্তার জন্য দুটি প্রধান উৎস থেকে মূলধন সংগ্রহ করা যায়:

  1. আভ্যন্তরীণ উৎস: নিজস্ব তহবিল, পারিবারিক সঞ্চয়, আত্মীয়-স্বজনের সঞ্চয় ইত্যাদি।
  2. বাহ্যিক উৎস: ব্যাংক ঋণ, সরকারি ঋণ, শেয়ার বাজার ইত্যাদি।

প্রাথমিক অবস্থায় চেষ্টা করুন আভ্যন্তরীণ উৎস থেকে মূলধন জোগাড় করতে। বাহ্যিক উৎস হিসাবে সরকারি ঋণের খাতকে নির্বাচন করতে পারেন।

গ্রাহক নির্ধারণ এবং অভিযোগ গ্রহণ করা

আপনার ব্যবসায়ের গ্রাহককে সঠিকভাবে নির্বাচন করুন এবং মার্কেটিং করুন। গ্রাহকের অভিযোগ গুরুত্ব সহকারে নিয়ে কাজ করলে দ্রুত গ্রাহক সন্তুষ্টি পাবেন এবং সফল হতে পারবেন।

বিজনেস মডেল ক্যানভাস

সফল উদ্যোক্তা হতে হলে বিজনেস মডেল ক্যানভাস সম্পর্কে ধারণা থাকা জরুরি। এটি আপনার ব্যবসা সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গ ধারণা দেয়।


 

এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনি সফল উদ্যোক্তা হওয়ার বিভিন্ন উপায় সম্পর্কে জানতে পারবেন। আশা করি এটি আপনার জন্য সহায়ক হবে।

Related Posts

সঙ্গে থাকুন ➥