জাতীয় শোক দিবস বাংলাদেশের ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন। প্রতিবছর ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস পালন করা হয়। এই দিনটি বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং তার পরিবারের সদস্যদের নির্মম হত্যাকাণ্ডের স্মরণে পালন করা হয়।
জাতীয় শোক দিবসের পটভূমি
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট রাতের অন্ধকারে, ঢাকার ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাসায় কিছু বিপথগামী সেনাসদস্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং তার পরিবারের সদস্যদের হত্যা করে। এই নির্মম ঘটনায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, তার স্ত্রী বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেসা মুজিব এবং পরিবারের আরও ১৬ জন সদস্য নিহত হন। বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা, শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা, দেশের বাইরে থাকায় প্রাণে বেঁচে যান।
২০২৪ সালের জাতীয় শোক দিবস
২০২৪ সালে জাতীয় শোক দিবস বৃহস্পতিবার, ১৫ আগস্ট পালন করা হবে। এই দিনটি বাংলাদেশের মানুষ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের স্মরণে গভীর শোক ও শ্রদ্ধায় পালন করবে।
জাতীয় শোক দিবসের কর্মসূচি
জাতীয় শোক দিবসে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হয়:
- কালো পতাকা উত্তোলন: সরকারি, বেসরকারি এবং স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে কালো পতাকা উত্তোলন করা হয়।
- জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা: জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়।
- বিশেষ মোনাজাত ও দোয়া: মসজিদে বাদ জোহর বিশেষ দোয়া ও মোনাজাতের আয়োজন করা হয়।
- বঙ্গবন্ধুর মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদন: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ধানমন্ডিতে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে এবং টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
- আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল: আওয়ামী লীগসহ অন্যান্য রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনগুলো আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে।
জাতীয় শোক দিবসের এই কর্মসূচিগুলো বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার প্রতীক হিসেবে পালিত হয়।