লিগ্রামের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) পাভেল দুরভকে আটক করেছে ফরাসি পুলিশ। পরিচয় গোপন রাখা একটি সূত্রের বরাত দিয়ে সবার আগে এই তথ্য প্রকাশ করেছে ফরাসি সম্প্রচারমাধ্যম টিএফওয়ান টিভি।
সংবাদ মাধ্যমটির খবর অনুযায়ী, স্থানীয় শনিবার সন্ধ্যায় দুরভ নিজের প্রাইভেট উড়োজাহাজে (জেট) করে দেশটির লো বোর্গেট বিমানবন্দরে অবতরণ করেন। এর পর সেখান থেকে বের হয়ে বিমান বন্দরের বাইরে আসতেই ওয়ারেন্ট অনুযায়ী তাকে গ্রেফতার করা হয়।
বিবিসি’র খবর অনুযায়ী, ৩৯ বছর বয়সী রাশিয়া বংশোদ্ভূত দুরভ বার্তা আদান-প্রদানের জনপ্রিয় অ্যাপ টেলিগ্রামের প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও। এই অ্যাপ সম্পর্কিত একটি অপরাধের পরোয়ানার ভিত্তিতে তাকে গ্রেফতার করেছে ফরাসি পুলিশ।
রাশিয়ার সংবাদ সংস্থা তাস জানিয়েছে, দুরভকে গ্রেফতারের ঘটনায় ফ্রান্সের রুশ দূতাবাস ‘তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ’ নিচ্ছে। তারা প্রাথমিকভাবে পরিস্থিতি বুঝতে চেষ্টা করছে। দুরভের আরব আমিরাত ও ফ্রান্সের নাগরিকত্ব রয়েছে।
দ্য গার্ডিয়ানের খবরে বলা হয়েছে, আজারবাইজান থেকে ভ্রমণ শেষে বিমানবন্দরে অবতরণের পর দুরভকে রাত ৮টা’র দিকে আটক করা হয়। রবিবার তাকে আদালতে হাজির করা হবে।
রাশিয়া, ইউক্রেন ও সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোতে টেলিগ্রাম ব্যাপক জনপ্রিয়। অ্যাপটির তথ্যভান্ডার রুশ সরকারের হাতে তুলে দেওয়ার জন্য জোরাজুরি করা হলে ২০১৪ সালে রাশিয়া ছাড়েন দুরভ। এরপর থেকে তিনি দুবাইয়ে বসবাস করছেন এবং সেখান থেকেই এটি পরিচালিত হয়।
২০১৮ সালে টেলিগ্রাম নিষিদ্ধ করে রুশ সরকার। কিন্তু ২০২১ সালে তা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়।
বিশ্বে ফেসবুক, ইউটিউব, হোয়াটসঅ্যাপ, ইনস্টাগ্রাম, টিকটক ও উইচ্যাটের পর সবচেয়ে জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টেলিগ্রাম। ২০১৩ সালে প্রতিষ্ঠিত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমটির ব্যবহারকারীর সংখ্যা ২০২৫ সালের মধ্যে ১০০ কোটি হবে বলে আশা করা হচ্ছে। সাম্প্রতিক সংস্কার আন্দোলনে বাংলাদেশেও তরুণদের কাছে অ্যাপটি ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করেছে।