অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ টেন মিনিট স্কুল - কী হচ্ছে আসলে?
দেশের অন্যতম জনপ্রিয় অনলাইন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান টেন মিনিট স্কুল অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে। তবে আগের সব পাঠদানের ভিডিওগুলো পাওয়া যাবে তাদের ওয়েবসাইট এবং ইউটিউব চ্যানেলে। সংস্কার নিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে শুক্রবার 'সর্বাত্মক অসহযোগ' আন্দোলনের ডাক দেয়া হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে শনিবার (৩ আগস্ট) প্রথম প্রহর ১২টা ১৯ মিনিটে প্রতিষ্ঠানটির অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ থেকে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।
ঘোষণার বিস্তারিত
ঘোষণায় বলা হয়, টেন মিনিট স্কুলের সব লাইভ ক্লাস, রিভিশন ক্লাস এবং ইংলিশ সেন্টারের অফলাইন ক্লাস শনিবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকবে। টেন মিনিট স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আয়মান সাদিকও তার ফেসবুক স্টোরিতে এ তথ্য শেয়ার করেছেন।
বিনিয়োগ হারানোর প্রেক্ষাপট
সম্প্রতি স্টার্টআপ বাংলাদেশ থেকে ৫ কোটি টাকার বিনিয়োগ হারিয়েছেন আয়মান সাদিক। চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলনের পক্ষে একাধিক স্ট্যাটাস দেয়ার পরিপ্রেক্ষিতে চুক্তি বাতিল করা হয়েছে বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন।
টেন মিনিট স্কুলের যাত্রা ও সাফল্য
২০১৫ সালে যাত্রা শুরু করা টেন মিনিট স্কুল বর্তমানে ৬ষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের অনলাইন ব্যাচে লাইভ ক্লাস এবং পরীক্ষার মাধ্যমে বোর্ড সিলেবাসভিত্তিক পড়াশোনা ও পরীক্ষা প্রস্তুতির নিয়মিত সহায়তা করছে। এছাড়াও, বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষার্থী ও চাকরির প্রত্যাশীদের প্রস্তুতিতে সাহায্য করে প্রতিষ্ঠানটি।
এ অ্যাপে বাংলাদেশের বোর্ড সিলেবাসের ওপর ৩৫ হাজারেরও বেশি রেকর্ডেড ভিডিও লেকচার, ৮২ হাজারেরও বেশি কুইজ, মডেল টেস্ট, ই-বুক, এবং লেকচার শিটের মতো শিক্ষামূলক রিসোর্স রয়েছে। শিক্ষামূলক অ্যাপটি ব্যবহার করছে ৬৭ লাখেরও বেশি শিক্ষার্থী। এছাড়া, টেন মিনিট স্কুলের ওয়েবসাইট ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন কনটেন্ট থেকে প্রতি মাসে এক কোটিরও বেশি শিক্ষার্থী অনলাইনে পড়াশোনা করছে।
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা
টেন মিনিট স্কুলের অনলাইন কার্যক্রম বন্ধের ঘোষণা শিক্ষার্থীদের জন্য একটি বড় ধাক্কা। তবে প্রতিষ্ঠানটির পুরোনো কনটেন্টগুলো শিক্ষার্থীরা আগের মতোই ব্যবহার করতে পারবেন। প্রতিষ্ঠানের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে এখনো স্পষ্ট কিছু জানানো হয়নি।
টেন মিনিট স্কুলের সব আপডেট জানতে আমাদের ওয়েবসাইট এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যুক্ত থাকুন।